সিবিএন ডেস্ক:
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে জয় পেতে চলেছে মমতা ব্যানার্জীর তৃণমূল কংগ্রেস। ইতোমধ্যে ২১০টি আসনে জয় পেয়েছে তৃণমূল। মমতার জয়ের আভাসে তার অনুসারী ও শুভকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে। অনেকে তাকে আগাম অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
আর মমতার জয়ের আভাসে তার অনুসারী ও শুভকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে। অনেকে তাকে আগাম অভিনন্দন জানাচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীও। তিনি পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের জয়কে ‘বাঙালির জয়’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। বিজেপিকে কটাক্ষ করে বললেন, বাঙালিকে টাকা দিয়ে কেনা যায় না।
আনন্দবাজার পত্রিকায় এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, ‘আজ বাঙালির জয়ের দিন। বাঙালির আত্মশ্লাঘার দিন। বাঙালি জিতিয়া প্রমাণ করিল, বাঙালি শ্রেষ্ঠ প্রজাতি।’
‘কোনো এক মনীষী বলেছিলেন, বাংলা আজ যেটা ভাবে, ভারত সেটা ভাবে পরশু। বাঙালিদের এই অহঙ্কারের জায়গাটা একটা সময় পর্যন্ত ছিল। তবে ইদানীং আমরা যেন নিজেদের বাঙালি ভাবতে লজ্জা পাচ্ছিলাম। এখনও প্রচুর মানুষ আছেন, যারা ইংরেজিতে কথা বলতে ভালবাসেন। হিন্দিতেও। কিন্তু আজ একটা বিষয় প্রমাণিত হয়ে গেল, যে দলটা প্রায় গোটা ভারতকে মুঠোয় নিয়ে ফেলেছে, বাংলাকে তারা কব্জা করতে পারল না। এটা আক্ষরিক অর্থেই আমাদের অর্থাৎ বাঙালিদের জয়।’
মমতার হুইল চেয়ারে বসে নির্বাচনী প্রচারণার প্রসঙ্গ টেনে নচিকেতা আরও বলেন, একজন ভদ্রমহিলা হুইল চেয়ারে গোটা রাজ্য ঘুরলেন। সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখের পাশে থাকার চেষ্টা করলেন। উন্নয়নের কথা বললেন। আর ভারত-কব্জা করা একটা দল দিল্লি-বাংলা যাতায়াতেই প্রায় ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে ফেলল। গোটা ভোটপর্বের জন্য খরচ শুনেছিলাম প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা! এই টাকা দিয়ে বাঙালিকে কেনা যায় না। দু’চারটে গাধা কেনা যায় হয়তো। কারণ, শয়তান তো চিরকালই থাকে। ও সব গুনতিতে আসবে না।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।